আপনি blogger এ একটি ব্লগ তৈরি করেছেন এখন এটির সুন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। blogger এ ব্লগের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ
হল এর Dashboard tools। প্রথমে আনাকে এই টুলস গুলোর সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। আজকে আমরা Dashboard
tools সম্পর্কে ধারণা দিব।
প্রথমে blogger এ লগ/সাইন ইন করুন। আপনার ব্লগ/ব্লগগুলো দেখতে পাবেন। ব্লগ টাইটেল
এর উপর ক্লিক করুন।
একটি নতুন পেজ আসবে এটিই হল Dashboard. এখানে বাম দিকে টুলসগুলো দেখতে পাবেন। নিচে টুলসগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল।
১। New
post : Dashboard tools এ সবার উপরে দেখতে
পাবেন New post টুলস। এ বাটনে ক্লিক করে আপনি হোমপেজে নতুন কিছু লিখতে পারবেন।
পরবর্তীতে বিস্থারিত দেখতে পাবেন।
কিভাবে একটি পেজ তৈরি করে অথবা হোম পেজে লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি দেয়া যায়? জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২। Overview:
Dashboard tools এ দ্বিতীয় অবস্থানে দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করলে আপনি বুঝতে
পারবেন আপনার ব্লগে কত জন প্রবেশ করেছে, কোথাথেকে
প্রবেশ করেছে ইত্যাদি। এটার মূলত পর্যবেক্ষণ ছাড়া কোন কাজ নেই।
৩) Post: এটি একটি কার্যকারী টুলস। আপনি যতগুলো পোস্ট করেছেন তার সবগুলো এর
মধ্যে দেখতে পাবেন। কোন পোস্টে কোন কিছু পরিবর্তন করতে হলে এখান থেকে Edit করতে হবে।
৪) Pages: এটি একটি
কার্যকারী টুলস। আপনি যতগুলো পেজ করেছেন তার সবগুলো এর মধ্যে দেখতে পাবেন। কোন
পেজে কোন কিছু পরিবর্তন করতে হলে এখান থেকে Edit করা যায়। উপরে New Page বাটনে ক্লিক করে নতুন পেজ
সৃষ্টি করা যায়। Post ও Pages তৈরি ও Edit কিভাবে করবেন। কিভাবে
ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সন্নিবেশন করবেন জানতে হলে ক্লক করুন
৫)
Comments: এটির তেমন কোন কার্যকারীতা নেই। আপনার ব্লগে পাঠকগণ যাযা Comments
করবে তাই দেখা যাবে। আপনি আপনার ব্লগের কোন Comment ডিলেট
করতে চাইলে এখানে প্রবেশ করে করতে পারবেন।
৬) Google+: Google+ হল Google এর
একটি সামাজিক সাইট যেমন ফেজবুক। ব্লগ তৈরিতে এর তেমন কোন কাজ নেই। আপনি সরাসরি
যেমন Google+ এ সামাজিক বন্ধু বৃদ্ধি, Chatting বা অন্য কাজ করতে পারেন। তেমনি এখান থেকে Get Start বাটনে ক্লিক করে প্রোফাইল
তৈরি করে Google+ এর কাজ করতে পারেন।
৭) Status: এটি ঠিক overview
টুলস এর মত। এখানে আপনি আপনার ব্লগের Status দেখতে পারবেন। কোন সময়
কোথা থেকে কতজন আপনার সাইট ভিজিট করল কোন সাইট থেকে প্রবেশ করল বা কোন ব্রাউজার
ব্যবহার করে প্রবেশ করল ইত্যাদি দেখতে পাবেন। ব্লগ
তৈরি বা সাজাতে এর কোন কাজ নেই।
৮)
Earnings: blogger এ ব্লগ তেরি করে google ads
পাবলিস এর মাধ্যমে আয় করা যায়। সে জন্য ভাল একটি ব্লগসাইট তৈরি করতে হবে যাতে
ভিজিটর বাড়াতে হবে তারপর আপনি google
ads এর জন্য আবেদন করলে সফল হতে পারবেন। । এসম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্থারিত আলোচনা করা হয়েছে।
৯)Layout:
এটি একটি
অতি গুরুত্বপূর্ণ টুলস। আপনার ব্লগের বাহ্যিক সুন্দর্য়তা এটির উপর নির্ভর করে।
এখান থেকে আপনি আপনার ব্লগের কোন স্থানে কি আছে তা বুঝতে পারবেন। সাইডবারে যা কিছু
যুক্ত করতে চান তা এ অপশনের মাধ্যমে করতে হবে।
এখান থেকে আপনি Lebel, Search Box, HTML code, Text, Image, Video ইত্যাদি সাইটবারে যুক্ত করতে পারবেন।
১০) Template: এটিএ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ টুলস। Template-ই
মূলত ব্লগের প্রাণভোমরা। এ অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগটির জাবতীয় লেখার ধরন,
রং, পেজের আকার, সাইড বারের সংখ্যা ও আকার,
ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন।
ক) কিভাবে Template পরিবর্তন করতে পারবেন?
খ) কিভাবে ব্লগের Background পরিবর্তন করতে পারবেন?
গ) কিভাবে ব্লগের আকার বড় বা ছোট করবেন?
ঘ) যাবতীয় লেখার রং, ফ্রন্ট, ফরম্যাট ইত্যাদি কিভারে পরিবর্তন করবেন?
ঙ) কাভাবে Tabs, সাইটবার
ডিভাইবার ইত্যাদির রং পরিবর্তন করবেন?
১১) Settings: আপনার ব্লগের Title, Description, Address, মালিকানা, কারা
পরতে পারবে, কতগুলো Post ও Comment এক পেজে দেখাবে, ইত্যাদি নির্ধারণ করতে
Dashboard এর Settings
অপশনটি ব্যবহার করা হয়। ব্লগ বা সাইট ভালভাবে তৈরি হওয়ার পর এখানে কাজ করতে হয়।
ব্লগ বা ওয়েভ সাইট তৈরি করতে আপনাকে অনুশীলন করতে হবে। এক সাথে একাধিক ব্লগ তৈরি করুন। প্রাকটিসে সুবিধা হবে।
No comments:
Post a Comment